যদি আপনার ত্বক প্রায়শই তেলতেলে হয়ে যায়, কপাল, নাক এবং থুতনি প্রায়শই চকচকে হয়ে যায় এবং ব্রণ বের হতে থাকে, তাহলে এটি স্পষ্ট লক্ষণ যে আপনার ত্বক তৈলাক্ত। এই ধরনের ত্বকের জন্য বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, অন্যথায় ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস এবং পিগমেন্টেশনের সমস্যা হতে পারে।
এ ব্যাপারে আকাশ হেলথকেয়ার হাসপাতালের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাঃ শ্বেতা মনচন্দা বলেন, তৈলাক্ত ত্বক শুষ্ক ভেবে বারবার ধোয়া বা সাবান লাগানো একটি বড় ভুল। এর ফলে ত্বকে আরও তেল উৎপন্ন হয়। সঠিক রুটিন অবলম্বন করাই এর সঠিক সমাধান।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সহজ এবং কার্যকর রুটিন
ম্যাক্স হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের ডাঃ সৌম্য সচদেব এই বিষয়ে বলেছেন
ক্লিনজিং (দিনে দুবার):
ডাঃ পরামর্শ দেন যে তৈলাক্ত ত্বকের লোকেদের দিনে দুবার মৃদু, স্যালিসিলিক অ্যাসিডযুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত। এটি অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা দূর করে, কিন্তু ত্বক শুষ্ক করে না।
টোনিং:
অ্যালকোহল-মুক্ত টোনার চুলের ফলিকলগুলিকে শক্ত করে এবং অতিরিক্ত তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে উপস্থিত হায়ালুরোনিক অ্যাসিড বা উইচ হ্যাজেলের মতো উপাদানগুলি উপকারী।
ময়েশ্চারাইজার এড়িয়ে যাবেন না:
তৈলাক্ত ত্বকেরও আর্দ্রতা প্রয়োজন। জল-ভিত্তিক, নন-কমেডোজেনিক (যা ছিদ্র বন্ধ করে না) ময়েশ্চারাইজার সবচেয়ে ভালো।
সানস্ক্রিন (প্রয়োগ করতে হবে):
এসপিএফ 30+ সহ তেল-মুক্ত, ম্যাট ফিনিশ সানস্ক্রিন অবশ্যই আবশ্যক। এটি ট্যানিং এবং রোদের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি রোধ করতে পারে।
সপ্তাহে দুবার এক্সফোলিয়েট করুন:
ত্বকের মৃত কোষ এবং তেল জমা দূর করতে হালকা স্ক্রাব বা BHA-ভিত্তিক এক্সফোলিয়েন্ট ব্যবহার করুন।
বিশেষ পরামর্শ
তৈলাক্ত ত্বকের লোকেদের ভারী মেকআপ বা তেল-ভিত্তিক পণ্য এড়িয়ে চলা উচিত।
দিনের বেলা ঘন ঘন মুখ ধোবেন না।
গ্রিন টি, লেবু এবং টমেটোর মতো ঘরোয়া প্রতিকার কিছুটা হলেও সহায়ক হতে পারে, তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরেই এগুলি ব্যবহার করুন।
তৈলাক্ত ত্বকের অর্থ এই নয় যে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। সঠিক পণ্যগুলির বুঝেশুনে এবং সঠিক ব্যবহার আপনাকে পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বক দিতে পারে। ডাক্তার বলেন, তেল আপনার ত্বকের শত্রু নয়, তবে কীভাবে এটির ভারসাম্য বজায় রাখা যায় তা হল আসল ত্বকের যত্ন।
No comments:
Post a Comment